৫-১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫ - কাজের সন্ধান: Kajer Sandhan Chai, আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সঠিক কাজটি খুঁজুন

৫-১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫

বর্তমান পরিস্থিতিতে, নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে যখন কর্মসংস্থান একটা বড় সমস্যা। তাই, যদি আপনার কাছে ১০ হাজার টাকা থাকে, আর আপনি নিজের একটা কিছু করতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।  শুধু আইডিয়া নয়, কীভাবে শুরু করবেন, কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন, কীভাবে লাভ করবেন, সবকিছুই বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এখানে ২৫টা এমন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হল যা আপনি কম টাকায় শুরু করতে পারেন, এবং যাহা খুব লাভজনক। ব্যবসাগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল। 




খাবার ও পানীয়:

১. মোমো/ফাস্ট ফুড স্টল:


কীভাবে শুরু করবেন: প্রথমে, মোমো বানানোর কৌশল শিখুন। ইউটিউব থেকে রেসিপি দেখতে পারেন বা কারও কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। একটি ছোট স্টল তৈরি করুন। স্থানীয় বাজারে বা রাস্তার ধারে জায়গা ভাড়া নিতে পারেন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কাঁচামাল (ময়দা, সবজি, মাংস) স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। মোমো বানানোর সরঞ্জাম (স্টিমার, পাত্র) পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: স্টল তৈরি ও কাঁচামাল কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: প্রতিদিন প্রায় ৫০-১০০ প্লেট মোমো বিক্রি করতে পারলে, মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


২. টিফিন সার্ভিস (ঘরোয়া খাবার):


কীভাবে শুরু করবেন: রান্নার দক্ষতা থাকতে হবে। স্থানীয় অফিস বা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টিফিন তৈরি করুন এবং সময় মতো ডেলিভারি দিন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। টিফিন বক্স পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: কাঁচামাল ও টিফিন বক্স কেনা বাবদ প্রায় ৩-৫ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: প্রতিদিন ২০-৩০ জনের টিফিন সরবরাহ করতে পারলে, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৩. আচার/মশলা তৈরি ও বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: আচারের রেসিপি জানা থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিছন্ন পরিবেশে আচার তৈরি করুন। ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে স্থানীয় দোকানে বা বাজারে বিক্রি করুন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কাঁচামাল (ফল, সবজি, মশলা) স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। প্যাকেজিং সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: কাঁচামাল ও প্যাকেজিং সামগ্রী কেনা বাবদ প্রায় ২-৩ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: মাসে প্রায় ৫০-১০০ কেজি আচার বিক্রি করতে পারলে, ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৪. জুস/শরবত/লেবুর জল:


কীভাবে শুরু করবেন: জুস তৈরির সরঞ্জাম (ব্লেন্ডার, গ্লাস) কিনুন। ফল স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। রাস্তার ধারে বা বাজারের কাছে স্টল দিন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: ফল, চিনি, লেবু স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। জুস তৈরির সরঞ্জাম পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: সরঞ্জাম ও ফল কেনা বাবদ প্রায় ৪-৬ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: গরমকালে প্রতিদিন প্রায় ৫০-১০০ গ্লাস জুস বিক্রি করতে পারলে, মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৫. বেকারি সামগ্রী (ছোট পরিসরে):


কীভাবে শুরু করবেন: কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি তৈরির রেসিপি শিখুন। ছোট পরিসরে ঘরেই তৈরি করুন। স্থানীয় দোকানে বা আশেপাশে বিক্রি করুন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: বেকিং এর সরঞ্জাম ও কাঁচামাল স্থানীয় দোকান থেকে কিনুন। প্যাকেজিং সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: সরঞ্জাম ও কাঁচামাল কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: মাসে প্রায় ৫০-১০০ কেজি বেকারি সামগ্রী বিক্রি করতে পারলে, ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

পোশাক ও হস্তশিল্প:


৬. ছোট পোশাকের দোকান (কম দামে):


কীভাবে শুরু করবেন: হোলসেল মার্কেট থেকে কম দামে পোশাক কিনুন। ছোট একটি দোকান ভাড়া নিন। বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক রাখুন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: পোশাক হোলসেল মার্কেট থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: পোশাক কেনা ও দোকানের ভাড়া বাবদ প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: পোশাকের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৭. হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: আপনার পছন্দের হস্তশিল্প তৈরি করুন (গয়না, শোপিস, মাটির জিনিস)। স্থানীয় বাজারে বা মেলায় স্টল দিন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: কাঁচামাল কেনা বাবদ প্রায় ২-৩ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: হস্তশিল্পের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৫-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৮. দর্জির দোকান (ছোট):


কীভাবে শুরু করবেন: সেলাইয়ের কাজ জানা থাকতে হবে। ছোট একটি দোকান খুলুন। কাপড় সেলাই, ব্লাউজ তৈরি, ছোটখাটো অল্টারেশনের কাজ করুন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: সেলাইয়ের সরঞ্জাম স্থানীয় দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রায় ৩-৫ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: কাজের পরিমাণের উপর নির্ভর করে, মাসে ৬-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


৯. ফুল বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: বিভিন্ন ধরনের ফুল (গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা) স্থানীয় বাগান বা পাইকারি বাজার থেকে কিনুন। সুন্দর করে সাজিয়ে ফুলের তোড়া তৈরি করুন। রাস্তার ধারে, বাজারের কাছে বা মন্দিরের আশেপাশে বিক্রি করুন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: ফুল স্থানীয় বাগান বা পাইকারি বাজার থেকে কিনুন। তোড়া সাজানোর সরঞ্জাম (রিবন, কাগজ) পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: ফুল কেনা ও সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রায় ৩-৫ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: ফুলের চাহিদা অনুযায়ী, মাসে ৫-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


১০. ফল বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: তাজা ফল (আপেল, কলা, কমলা, পেয়ারা) স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন। রাস্তার ধারে বা বাজারে একটি ছোট স্টল দিন।

কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: ফল স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন।

বিনিয়োগ: ফল কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।

আয়: ফলের চাহিদা অনুযায়ী, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।


১১. খাতা, পেন, পেন্সিল বিক্রি (স্টেশনারি):


কীভাবে শুরু করবেন: খাতা, পেন, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি স্টেশনারি সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন। স্কুল-কলেজের আশেপাশে ছোট একটি দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: স্টেশনারি সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: স্টেশনারি সামগ্রী কেনা বাবদ প্রায় ৭-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: স্কুল-কলেজের আশেপাশে দোকান হলে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

১২. মোবাইল রিচার্জ ও সিম কার্ড বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির রিচার্জ ও সিম কার্ড বিক্রির জন্য তাদের সাথে কমিশন ভিত্তিক চুক্তি করুন। ছোট একটি দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে রিচার্জ ও সিম কার্ড পাবেন।
বিনিয়োগ: দোকানের ভাড়া ও কিছু প্রাথমিক সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: রিচার্জ ও সিম কার্ড বিক্রির কমিশনের উপর নির্ভর করে, মাসে ৬-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৩. ফটোকপি ও জেরক্স:


কীভাবে শুরু করবেন: একটি ফটোকপি মেশিন কিনুন। স্কুল-কলেজের আশেপাশে বা অফিসের কাছে দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: ফটোকপি মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: ফটোকপি মেশিন কেনা বাবদ প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: ফটোকপি ও জেরক্সের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৪. ছোট খেলনার দোকান:


কীভাবে শুরু করবেন: কম দামের খেলনা পাইকারি দোকান থেকে কিনুন। ছোট একটি দোকান খুলুন। স্কুল-কলেজের আশেপাশে বা বাজারের কাছে দোকান দিলে ভালো চলবে।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: খেলনা পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: খেলনা কেনা বাবদ প্রায় ৭-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: খেলনার চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৫. বই ও ম্যাগাজিন বিক্রি (সেকেন্ড হ্যান্ড):


কীভাবে শুরু করবেন: সেকেন্ড হ্যান্ড বই ও ম্যাগাজিন সংগ্রহ করুন। রাস্তার ধারে বা বাজারে একটি স্টল দিন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: সেকেন্ড হ্যান্ড বই ও ম্যাগাজিন বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারেন (যেমন, পুরনো বইয়ের দোকান, বন্ধুদের কাছ থেকে)।
বিনিয়োগ: বই ও ম্যাগাজিন সংগ্রহের খরচ প্রায় ২-৩ হাজার টাকা।
আয়: বই ও ম্যাগাজিনের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৫-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৬. কসমেটিক্সের দোকান (ছোট):


কীভাবে শুরু করবেন: কম দামের কসমেটিক্স সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন। ছোট একটি দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কসমেটিক্স সামগ্রী পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: কসমেটিক্স সামগ্রী কেনা বাবদ প্রায় ৭-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: কসমেটিক্সের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৭. জুতো সেলাই ও পালিশ:


কীভাবে শুরু করবেন: জুতো সেলাই ও পালিশের কাজ শিখুন। রাস্তার ধারে বা বাজারের কাছে ছোট একটি দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: জুতো সেলাই ও পালিশের সরঞ্জাম স্থানীয় দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রায় ২-৩ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: কাজের পরিমাণের উপর নির্ভর করে, মাসে ৫-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৮. চায়ের দোকান:


কীভাবে শুরু করবেন: চা বানানোর সরঞ্জাম (কেটলি, কাপ) কিনুন। রাস্তার ধারে বা বাজারের কাছে ছোট একটি চায়ের দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: চা, চিনি, দুধ স্থানীয় দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: সরঞ্জাম ও কাঁচামাল কেনা বাবদ প্রায় ৪-৬ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: চায়ের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

১৯. পানের দোকান:


কীভাবে শুরু করবেন: পান এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনুন। রাস্তার ধারে বা বাজারের কাছে একটি পানের দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: পান ও সরঞ্জাম স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: সরঞ্জাম ও পান কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: পানের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২০. ছোট মুদি দোকান:


কীভাবে শুরু করবেন: স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস (চাল, ডাল, তেল, মশলা) পাইকারি দোকান থেকে কিনুন। ছোট একটি মুদি দোকান খুলুন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: জিনিসপত্র কেনা বাবদ প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: মুদি দোকানের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২১. ডাল-ভাত ও তরকারি বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: রান্নার দক্ষতা থাকতে হবে। স্থানীয় এলাকায় ডাল-ভাত ও বিভিন্ন ধরনের তরকারি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: কাঁচামাল ও রান্নার সরঞ্জাম কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: খাবারের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২২. ডোনাট/কেক বিক্রি (ছোট পরিসরে):


কীভাবে শুরু করবেন: ডোনাট বা কেক তৈরির রেসিপি শিখুন। ঘরে তৈরি করে স্থানীয় বাজার বা দোকানে বিক্রি করতে পারেন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: বেকিং এর সরঞ্জাম ও কাঁচামাল স্থানীয় দোকান থেকে কিনুন।
বিনিয়োগ: সরঞ্জাম ও কাঁচামাল কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: ডোনাট বা কেকের চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২৩. দ্বিতীয় হস্তকের খেলনা বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: ভালো অবস্থায় থাকা দ্বিতীয় হস্তকের খেলনা সংগ্রহ করুন। স্থানীয় বাজার বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: বন্ধু, আত্মীয় বা বিভিন্ন স্থান থেকে খেলনা সংগ্রহ করুন।
বিনিয়োগ: খেলনা সংগ্রহের খরচ প্রায় ২-৩ হাজার টাকা।
আয়: খেলনার চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৫-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২৪. বাচ্চাদের খেলনা ভাড়া দেওয়া:


কীভাবে শুরু করবেন: কিছু খেলনা কিনে নিন। স্থানীয় বাচ্চাদের কাছে সেগুলি ভাড়ায় দিন।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: খেলনা দোকান থেকে খেলনা কিনুন।
বিনিয়োগ: খেলনা কেনা বাবদ প্রায় ৫-৭ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: খেলনার চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৬-১২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

২৫. ইমিটেশন গয়না বিক্রি:


কীভাবে শুরু করবেন: পাইকারি দোকান থেকে ইমিটেশন গয়না কিনুন। স্থানীয় বাজার বা দোকানে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনেও বিক্রি করতে পারেন, তবে এখানে আমরা অফলাইন ব্যবসার কথা বলছি।
কোথায় থেকে জিনিসপত্র পাবেন: পাইকারি দোকান থেকে ইমিটেশন গয়না কিনুন। কলকাতার বড়বাজারে অনেক পাইকারি দোকান আছে।
বিনিয়োগ: গয়না কেনা বাবদ প্রায় ৭-১০ হাজার টাকা লাগবে।
আয়: গয়নার চাহিদার উপর নির্ভর করে, মাসে ৮-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
অতিরিক্ত কিছু টিপস:
বাজার গবেষণা: ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার এলাকার চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিন। কোন ধরনের জিনিসের চাহিদা বেশি, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
যোগাযোগ: স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তারা আপনাকে জিনিসপত্র কোথায় পাবেন, সে সম্পর্কে সাহায্য করতে পারে।
বিপণন: আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য স্থানীয়ভাবে লিফলেট বিলি করতে পারেন বা ছোটখাটো বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে আপনার ব্যবসার কথা জানান।
হিসাব রাখা: আয় ও ব্যয়ের হিসাব রাখুন। এতে আপনার ব্যবসার লাভ-ক্ষতি বুঝতে সুবিধা হবে।
ধৈর্য ও পরিশ্রম: ব্যবসা শুরু করার পর ধৈর্য ধরে কাজ করুন। প্রথম দিকে হয়তো লাভ কম হতে পারে, কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে গেলে অবশ্যই সাফল্য আসবে। পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি।
লাইসেন্স ও অনুমতি: কিছু ব্যবসার জন্য লাইসেন্স বা অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নিন।
ঋণ: প্রয়োজনে ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন ঋণ প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ নিতে পারেন। মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া-র মতো প্রকল্পে কম সুদে ঋণ পাওয়া যায়।
নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি: যে ব্যবসা আপনি করতে চান, সেই বিষয়ে আপনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। প্রশিক্ষণ নিন বা কারও কাছ থেকে শিখে নিন।
এই ২৫টি আইডিয়া ছাড়াও, আপনার নিজের বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনি আরও অনেক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনার আগ্রহ ও পরিশ্রম।  যদি আপনার মনে আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে কোনো বাধাই আপনাকে আটকাতে পারবে না।  শুধু প্রয়োজন একটু চেষ্টা আর সঠিক পরিকল্পনার।  এই আর্টিকেলটি যদি আপনাকে সামান্যতমও সাহায্য করতে পারে, তাহলেই আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url