প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন: আপনার স্বপ্নের ব্যবসা শুরু করার সহজ পথ (সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া) UPDATED- 2025

আপনি কি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পুঁজির অভাবে থেমে আছেন? চিন্তা করবেন না, ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা প্রকল্প আপনার পাশে আছে (প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন)। এই প্রকল্পর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, খুচরা ব্যবসা, পরিষেবা খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিরা সহজেই ঋণ পেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন

PMMY হল একটি আর্থিক সহায়তা প্রকল্প যা ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং উদ্যোগীদের ঋণ প্রদান করে। এই প্রকল্পটি ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কম্পানি (NBFC) এবং মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন (MFIN) সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।

Whatsapp Group
Telegram Channel

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা প্রকল্প (যোজনার) উদ্দেশ্য :

  • ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের স্বাবলম্বী করা: এই প্রকল্পর মূল লক্ষ্য হল দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের অর্থ সহায়তা প্রদান করে তাদের স্বাবলম্বী করা।
  • বেকারত্ব দূর করা: নতুন ব্যবসা সৃষ্টি করে এই যোজনা বেকারত্বের হার কমাতে সাহায্য করে।
  • দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করা: ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের সহায়তা করে এই যোজনা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সাহায্য করে।

কী ধরনের ঋণ পাওয়া যায়?

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা প্রকল্পর অধীনে তিন ধরনের ঋণ পাওয়া যায়:

  • শিশু ঋণ: ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত
  • কিশোর ঋণ: ৫০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত
  • তরুণ ঋণ: ৫,০০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত

কোন কোন ব্যবসার জন্য লোন দেওয়া হয়?

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা প্রকল্পটি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, খুচরা ব্যবসা এবং পরিষেবা খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই যোজনার আওতায় আপনি যদি নিম্নলিখিত ধরনের কোনও ব্যবসা শুরু করতে চান বা চালাতে চান তাহলে আপনি এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন:

  • খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: মিষ্টি, মুরব্বা, আচার ইত্যাদি তৈরি করা।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি।
  • কাপড়: সুতা কাটা, বোনা, সিলাই ইত্যাদি।
  • চামড়া: চামড়ার জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করা।
  • হস্তশিল্প: কাঠের কাজ, মৃন্ময় কাজ, লোহার কাজ ইত্যাদি।
  • খুচরা ব্যবসা: দোকান, পেট্রোল পাম্প ইত্যাদি।
  • পরিষেবা খাত: প্যারালার, মেরামতের দোকান ইত্যাদি।

কোন কোন ব্যক্তি আবেদন করতে পারেন?

  • ভারতের যে কোনো নাগরিক
  • ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প, খুচরা ব্যবসা, পরিষেবা খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি
  • ব্যাঙ্কের কাছে কোনও খেলাপি ঋণ না থাকা ব্যক্তি

কীভাবে আবেদন করবেন?

আপনি যে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সময় আপনাকে কিছু নথি জমা দিতে হবে।

কোথায় যোগাযোগ করতে হবে?

আপনি এই ঋণের জন্য যে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করতে পারেন। এই যোজনাটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে। আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এই ঋণের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

কোন নথি জমা দিতে হয়?


ঋণের জন্য আবেদন করার সময় সাধারণত নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হয়:

1-আধার কার্ড
2-প্যান কার্ড
3-বাসস্থানের প্রমাণ
4-ব্যবসার প্রমাণ (যেমন: লাইসেন্স, বিল ইত্যাদি)
5-ব্যাঙ্ক পাসবুক
6-মোবাইল নম্বর
7-পাসপোর্ট সাইজের ছবি


বিঃদ্রঃ: নথির তালিকা ব্যাঙ্ক অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

কেন এই প্রকল্প জনপ্রিয়?

সহজলভ্য: এই ঋণ পেতে খুব বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না।
কম সুদ: এই ঋণের সুদের হার অন্যান্য ঋণের তুলনায় কম।
কোনও জামানতের প্রয়োজন নেই: এই ঋণ নিতে কোনও জামানতের প্রয়োজন হয় না।

কত দিনে ঋণ মঞ্জুর হয়?

ঋণ মঞ্জুর হতে কত সময় লাগবে তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:

  • আবেদনপত্রের সম্পূর্ণতা
  • ব্যাঙ্কের কাজের চাপ
  • দেওয়া তথ্যের যাচাই

সাধারণত, আবেদন করার ৭-১৫ দিনের মধ্যে ঋণ মঞ্জুর হয়ে যায়।

ঋণ শোধ করার মেয়াদ কত?

ঋণ শোধ করার মেয়াদ ঋণের পরিমাণ এবং ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, এই ঋণের জন্য ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে শোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

আপনার জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

সুদের হার: সুদের হার ব্যাঙ্ক অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
জামানত: সাধারণত এই ঋণের জন্য কোনও জামানতের প্রয়োজন হয় না।
পুনর্মূল্যায়ন: ঋণের পরিমাণ এবং শোধ করার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপনি ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ: এই তথ্য কেবলমাত্র সাধারণ ধারণার জন্য। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করুন।

Whatsapp Group
Telegram Channel

Leave a Comment